খালিদ সাইফুল,কুষ্টিয়া থেকে: কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে স্কুলছাত্রী জিনিয়া খাতুনের জানাজায় গিয়ে মারধরের শিকার প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদের করা মামলায় তিনজনের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (১৪ আগস্ট) সকালে ছয়জন আসামি কুমারখালী আমলি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্থন করে জামিন প্রার্থনা করেন। আদালতের বিচারক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা সুলতানা তিনজনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন। তারা হলেন- কয়া ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের ফারুক হোসেন (৪০), গাজীর উদ্দিন (৫৩) ও মো. জাবেদ আলী (৪০)।
আদালতের জিআরও সুমন সরদার তিনজনের জামিন নামঞ্জুর হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৭ আগস্ট সুলতানপুর মাহতাবিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাদের সিঁড়িঘরে উঠে পাঁচ ছাত্রী ধূমপান করে। বিষয়টি জানতে পেরে শিক্ষকরা তাদের ডেকে এনে ভিডিও ধারণ করেন। শিক্ষকরা বিষয়টি অভিভাবকদের জানানো, অনলাইনে ছড়ানো ও ছাড়পত্র (টিসি) দেওয়ার হুমকি দেন বলে অভিযোগ ওঠে।
এ ঘটনায় দুই ছাত্রী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। স্থানীয়রা তাদের জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও গলায় ফাঁস নিয়ে জিনিয়া খাতুন নামের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করে। সে সুলতানপুর গ্রামের জিল্লুর রহমানের মেয়ে।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) দুপুরে ওই স্কুলছাত্রীর জানাজায় যান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ। সেসময় বিক্ষুব্ধ জনতা তাকে মারধর করে আহত করেন। এ ঘটনায় শুক্রবার (১১ আগস্ট) রাতে সাতজনের নামে থানায় মামলা করেন প্রধান শিক্ষক। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে আরও ২০ জনকে।
এর আগে বুধবার (৯ আগস্ট) তিনজন শিক্ষক ও একজন কর্মচারীকে আসামি করে আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা করেন নিহত ছাত্রীর মা শান্তা খাতুন।